এই বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে পুজোতে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে কেন আমার কোনো ভ্যালেনটাইন নেই। এখন কি করে বলি যে আমার ভ্যালেনটাইন থাকা আর এই যাত্রায় হবে না।
এই ধরুন সেদিনকে একটা ছেলে আমাকে বললো যে আমাকে বিয়ে করলে সে রোজ আমাকে গোলাপ কিনে দেবে। অন্য মেয়েরা শুনে খুব খুশি হতো আমি জানি। আমার প্রথম মনে হলো “কেন? রোজ রোজ গোলাপ গুলো পচে গেলে পরিষ্কার টা কে করবে? দেখো পোষাবে না এতো খাটুনি। এর থেকে প্রেম না করাই ভালো। ”
তার পরে আরেকটা ছেলে একদিন বললো “শোনো আমরা যদি বিয়ে করি আমি না তোমাকে রোজ রান্না করতে সাহায্য করবো।” সাধারণ মেয়েরা আমি জানি শুনেই খুশিতে ডগমগ হয়ে যেত। আমার হলো রাগ. “শালা রোজ রোজ আমি রান্না করবো এরকম ভুল ভাবনা এলো কি করে ওর মাথায়? না মানে একদিনও করবো এটা ভাবনা টাই ভয়ঙ্কর আর ও ভাবছে আমি রোজ রান্না করবো?” যাই হোক একেও আমার পছন্দ হলো না।
আরেকদিনের ঘটনা বলি. ছেলেটা বেশ ভালো। খুব প্রেমের কথা বলছে হোয়াটস্যাপ-এ। মানে খুবই বিগলিত ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু আমি আর উত্তর দিতে পারছি না। কি করে দি? আমি তো মনে মনে ভাবছি “এই দেখো আবার বানান ভুল লিখেছে। এই তো দু সেকেন্ড আগে আরেকটা ভুল লিখেছিলো। এখন আবার? স্কুল-এ নিগ্ঘাট ফেল করতো।” যাই হোক এই সব ভাবনা চিন্তা করার চোটে সে ভাবলো আমি ঠিক প্রেমে ইচ্ছুক না আর নিজেই কেটে গেলো।
আর কি বলি সেদিনকে একটা ছেলে খুব ভালোবেসে বললো “শোনো বিয়ে করলে আমরা খুব দেশ বিদেশ ঘুরবো। আমি প্রতি দু মাসে যাই আর তুমিও আমার সাথে চলো।” আমি জানি আপনারা বলবেন কি ভালো ছেলে। সবাই এরকম বড় চায়ে। কিন্তু আমি তো সে ধাতের তৈরি মেয়ে না। আমার মাথায় তখন আগুন জ্বলছে। ভাবছি “এই যে ছেলে তুমি কি ভেবে নিয়েছো আমি চাকরি বাকরি করবো না বিয়ে করলে? কারণ প্রতি দু মাস বিদেশ গেলে আমার বস-এরা আমার চাকরি তো ভুলে যাও , আমাকে জ্যান্ত রাখবে না। তোমার সাহসের শেষ নেই ” যাই হোক বুঝতেই পারছেন এটাও আমার হলো না।
তাই অগত্যা আমি ভ্যালেন্টাইন্স ডে পুজোতে একাই ছিলাম আর বুঝে গেছি যে একই থাকবো আর তার জন্য আমার দুঃখ করে কোনো লাভ নেই। যাই হোক আপনাদের টা কেমন কাটলো?